মুসলিম বিশ্ব ডেস্ক 04 February, 2023 08:02 PM
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মজলিসে শূরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (৪ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সকাল ১০টা থেকে জোহর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বেফাক কার্যলয়ের নতুন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, সহ সভাপতি মুফতি জাফর আহমাদ, মুফতি মানসূরুল হক, মাওলানা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন আহমদ গহরপুরী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা আনোয়ারুল কারীম যশোর, মাওলানা মোশতাক আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা আশেকে মোস্তফা, মাওলানা নেয়ামাতুল্লাহ আল ফরিদী, মুফতি মোবারকুল্লাহ, মাওলানা আনাছ ভোলা, বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা ওবায়দুর রহমান খান নদভী প্রমূখ বেফাকের শূরা সদস্যবৃন্দ।
বেফাক মহাপরিচালক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, বেফাকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি বছর শূরা বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে হয়; যেখানে পুরো বছর গৃহিত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপন হয়। আজকের শূরা বৈঠকে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ইস্যু ও বেফাকের নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হয়। একাডেমিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হয়। আসন্ন কেন্দ্রীয় পরীক্ষার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।আজকের বৈঠকে বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় বিতর্কিত পাঠ্যসূচীর বিষয়টি। জাতীয় শিক্ষাক্রমকে জাতীয় ঐক্য, স্বার্থ ও কল্যাণ বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেন উপস্থিত শূরা সদস্য ও নেতৃবৃন্দ।
বেফাক মহাপরিচালক বলেন, বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাকি আছে আর ৭/৮ দিনের মতো। এই মূহুর্তে শূরা বৈঠকটি খুব প্রয়োজন ছিল; যেন কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বোর্ডের কোনো কাজ আটকে না থাকে। সামনে পরীক্ষা। এরপর রমজান। রমজানের পর ভর্তি। এরপর কোরবানি ও হজের ব্যস্ততা। সবকিছু মিলিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে কাউন্সিল করা কঠিন। তাই শূরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী রবিউল আউয়ালের ভেতরে যেন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের সুবিধার জন্য বর্তমান কমিটির মেয়াদ আট মাস বাড়ানো হয়েছে। তবে কবে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, বেফাকের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে কিছুটা দেরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দশম কাউন্সিল। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জামিয়া আরবিয়া ইমদাদুল ঊলূম ফরিদাবাদে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে কাউন্সিল; যেখানে আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে সভাপতি ও ফরিদাবাদ জামিয়ার মুহতামিমমাওলানা আব্দুল কুদ্দুসকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।পরবর্তীতে আল্লামা শাহ আহমদ শফির মৃত্যু ও মাওলানা আব্দুল কুদ্দুসের পদত্যাগের কারণে ২০২০ সালের ৩ অক্টোবর আমেলা বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নির্বাচিত হোন মাওলানা মাহমুদুল হাসান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নির্বাচিত হন মাওলানা মাহফুজুল হক। পরবর্তীতে বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয় মাওলানা সাজিদুর রহমানকে।